২০১৬ সালে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন আশরাফুল আলম ওরফে ডিশ আলম ওরফে হিরো আলম। বগুড়ার এরুলিয়া গ্রাম থেকে ঢাকা এসে ক্রমশ নিজের জায়গা করে নেন আলম। ২০১৭ সালে হিরো আলম অভিনীত প্রথম ছবি মার ছক্কা মুক্তি পায়। ২০১৮ সালে তিনি বিজু দ্য হিরো নামে একটি বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এ ছাড়া বাংলাদেশে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনৈতিক প্রস্তাব ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে শারমীন আক্তার সাথী নামে এক তরুণী সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। শনিবার রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় এই জিডি করা হয়। তবে হিরো আলম বিষয়টিকে একেবারে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে মাত্র কয়েজন মানুষ। আমি দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করবো।’
পেশায় নার্স ওই তরুণীর লিপিবদ্ধ জিডি নম্বর ১১৭২। তরুণী দাবি করেন, অনন্ত জলিলের নতুন ছবিতে কাজের সুযোগের কথা বলে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে বসে সে। সাথী শখের বসে মাঝেমধ্যে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মিউজিক ভিডিও করেন।
তবে হিরো আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এমনটি করা হচ্ছে। আপনি দেখবেন, ঐ স্ক্রিনশট আমার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে যায়নি। আমি ব্যবহার করি Hero alom bogura নামের অ্যাকাউন্ট। কিন্তু মেয়েটির কাছে মেসেজ গিয়েছে Hero alom নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে। আর আমি ওই মেয়েটির সাথে কথা বলেছি, সে তো এখনো নিশ্চিত না কার সাথে চ্যাট করেছে। এতে সে জিডি করে ফেলল?’
সাধারণ ডায়েরিতে তরুণী অভিযোগ করেছেন, ‘হিরো আলম বগুড়া নামে ফেসবুক থেকে একাধিকবার আমার ফেসবুকে ( সাথী আক্তার) অশ্লীল ভাষায় বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিতে থাকেন। আমাকে বিভিন্নভাবে সমাজের কাছে হেয় করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হিরো আলম আমাকে ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন।’
সাথী আক্তার নামে ওই তরুণী বলেন ‘হিরো আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী নুসরাত আমার পরিচিত। আপনি তার সাথে কথা বললেই বুঝতে পারবেন, আসলে সে ওই রকম প্রস্তাব দিতে পারে কি না। আমাকে প্রথমে একবার বাজে ইঙ্গিত দিয়ে মেসেজ দিয়েছিল, আমি সেটা ইগনোর করেছিলাম। পরে সে আমাকে অনন্ত জলিলের ছবিতে কাজের সুযোগ করে দেবে, কলকাতায় নিয়ে কাজ দেবে-এমন কথা বলে আমাকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়।’
হিরো আলম বলেন, ‘আমি এমন কেন করব। আমার বিরুদ্ধে একটা চক্র এই কাজ করছে। তারা আমার পেছনে লেগে আছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’
হিরো আলম অবশ্য ফেসবুক লাইভে এসে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া তার পেছনে কারা কলকাঠি নাড়ছে সেসব কথাও বলেন। এ ছাড়া হিরো আলম আসলেই Hero alom bogura নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন। এ ছাড়া তার HERO ALOM নামের একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। তবে এর আগে হিরো আলম্ন ওরফে আশরাফুল আলমের একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় ও হ্যাকড হয়।