বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নে বাঘোপাড়া মধ্যপাড়া গ্রামে বাড়ীর সীমানা নিয়ে দ্বন্দে ২ সন্তানের জননী গৃহবধূ সালমা বেগম (৩২) হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।বগুড়া সদর থানায় মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত গ্রামের বদরুল আলম মুকুল মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম(৩২) কে বাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাতিজা সাদ্দাম হোসেন,দেবর সহ কয়েকজন মিলে দিনে দুপুরে তার মাথায় রডের আঘাত করে।নিহত সালমা বেগম এর স্বামী বদরুল আলম মুকুল মিয়া জানান, বাড়ির সীমানা দিয়ে সিএনজি পারাপার করতো পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবু বক্বর সিদ্দিকের পুত্র সম্পর্কে ভাতিজা সাদ্দাম হোসেন(২৮)।গত ২০ এপ্রিল সকাল ৯টায় এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে ভাতিজা সাদ্দাম হোসেন চাচী সালমা বেগমের মাথায় রড দিয়ে স্ব-জোড়ে আঘাত করে।অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সালমা বেগমকে গ্রামের স্থানীয় লোকজন আশংকাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে( শজিমেকে) আইসিইউতে ভর্তি করে দেয়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ এপ্রিল রাত ১১টায় তিনি মারা যায়।এ ব্যাপারে ৪ জনকে আসামী করে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন সালমা বেগমের পিতা আব্দুস সামাদ।মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আলী আশরাফ ভুঞা(বিপিএম বার) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তি,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হুমায়ন কবীর,ইন্সপেক্টর(তদন্ত)রেজাউল করিম রেজা’র সার্বিক দিক নির্দেশনা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বেদার উদ্দিনকে।তিনি মামলার দ্বায়িত্বভার গ্রহন করে আসামীদেন গ্রেফতার করতে জোর প্রচেস্টা চালান।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী অফিসার সদর থানার এস আই বেদার উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ মামলার এজাহার নামীয় আসামী গৃহবধূ সালমা বেগম এর সম্পর্কে ভাতিজা উল্লেখিত গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ২ ছেলে সাদ্দাম হোসেন(২৮) তার ভাই শামিম হোসেন(২৪) ও তার মা ফাতেমা বেগম ফতে(৪৫) কে অদ্যই সোমবার ভোর রাতে বগুড়া সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই বেদার উদ্দিন জানান,মামলার প্রধান আসামী আবু বক্কর সিদ্দিকে গত কিছুদিন পূর্বে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।মামলার বাদী সহ এলাকাবাসী দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করায় তদন্তকারী অফিসার এস আই বেদার উদ্দিন সহ উর্দ্ধতন পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান এবং আসামীদের কঠিন শাস্তির দাবী জানান।