Logo




গো-খাদ্যের উচ্চমূল্যে দিশেহারা খামারিরা

দুলাল হোসেন,শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
আপডেট করা হয়েছে : শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০

 আসন্ন কোরবানিকে ঘিরে গরু মোটাতাজাকরণ করছে ছোট রড় ব্যবসায়ী ও খামারিরা। বর্তমান মৌসুমে গো-খাদ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা।
অনেক খামারি জানায়, গো-খাদ্যের এত দাম আর কখনই দেখেননি তারা। গো-খাদ্যের দাম না কমালে তাদের রড় ধরনের লোকশানে পড়তে হবে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতি বছর খামারিরা গরু,ছাগল,ভেড়া মোটাতাজাকরণ করে থাকেন। তবে দিন যতই যাচ্ছে গো-খাদ্যের দাম ততই বেড়েই ছলছে। তার মাঝে দেখা দিয়েছে মহামারি করোনা ভাইরাস, বান বন্যাসহ বিভিন্ন ধরনের দূর্যোগে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়ছেন । মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের আর্থিক মেরুদন্ডের চাকা দিনদিন অচল পড়ছে তাই বাজরে কেনাবেচা ভালো হচ্ছে না তাই বড় ধরনের লোকশানের মুখে পড়তে হবে।
শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর গ্রামের খামারি আব্দুল ছাত্তার জানান, গো-খাদ্যের উচ্চমূল্যে ওদের খাওয়াবো কি করে এক কেজি গমের ভূষির দাম ৪০টাকা, মসুারের ভূষি ৪০টাকা, খুদ ৩০টাকা, ধানের কুড়া ১৪টাকা,খৈল ৩৮টাকা, ফিড ৩৮টাকা, খড় ১২টাকা, কেজি দরে বিক্রয় করছে ব্যবসায়িরা।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে প্রতিটি খাবার ৬-৭টাকা বৃুদ্ধি পেয়েছে খাবারের বাড়তি খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছি এক কেজি দুধ বিক্রি করে ১কেজি ভূষির দাম হয়না।
এবিষয়ে প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা জানান, সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আমরা সবাই এর শিকার। তাই দানাদার খাদ্যের উপর বেশি নির্ভর না করে উন্নত জাতের ঘাষের চাষ কারার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com