Logo




করোনায় হতাশা, দেশে বেড়েছে আত্মহত্যা

স্টাফ রির্পোটারঃ
আপডেট করা হয়েছে : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

করোনা মহামারি কাটিয়ে ওঠার পরও হতাশার কারণে দেখা দিতে পারে ‘মানসিক মহামারি’। দিনে দিনে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। কারো মধ্যে আত্মহত্যার কোনো লক্ষণ থাকলে তাকে বুঝিয়ে সে পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিলেন মনোবিদরা। পুলিশ বলছে, পারিবারিক হতাশা ও বেকারত্বের কারণেই ঘটছে অধিকাংশ ঘটনা।অকালে ঝরে গেলো এক প্রাণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ইমাম হোসেন। আত্মহত্যা করার বেশ ক’দিন আগে থেকেই ফেসবুকে হতাশাজনক পোস্ট করতেন। পরিবার ও বন্ধুদের ধারণা, প্রেমে ব্যর্থ হয়েই আত্মহননের পথ বেছে নেন ইমাম।তার কদিন আগেই মেরুল খোলা ব্রিজের নীচে পাওয়া যায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আমিনুল ইসলামের লাশ। পরিবার ও পুলিশ বলছে, ধার্মিক আর সৎ হিসেবেই আমিনুলকে চিনতো সবাই। পরিবারে অবদান রাখতে না পারায় প্রায়ই হতাশার কথা বলতেন ।গোয়েন্দা বিভাগ উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, কোন জায়গায় তিন-চারদিনের বেশি স্থির হতে পারতেন না। ডিপ্রেশনে ভুগতেন।জুয়ার নেশায়, প্রচণ্ড হতাশায় স্ত্রী সন্তানদের হত্যা করে নিজেও ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন এই বিটিসিএল কর্মকর্তা। ব্যর্থ হয়ে পাগলের বেশে ঘুরছিলেন। পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।মনোবিদরা বলছেন, আত্মহত্যার এই ঘটনাগুলো নতুন নয়। তবে লকডাউনের মধ্যে মানসিক হতাশা বেড়েছে। কোভিড পরিস্থিতি ভালো হলেও মানসিকভাবে সুস্থ থাকাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।ডা. সালাহ উদ্দিন কাউসার বিপ্লব বলেন, ব্যক্তিগত জীবনের হতাশা। নিজের জায়গায় থাকতে পারছে না। অর্থনৈতিক চাপ- এসব থেকেই বাড়ছে আত্মহত্যা।  পরিবারের কারো মানসিক সমস্যা দেখা দিলে তাকে সময় দেয়ার পরামর্শ মনোবিদদের।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com