বগুড়ার শাজাহানপুরে এক বিধবা মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের চেষ্টা কারীকে এলাকাবাসী আটকে রাখলেও স্থানীয় প্রভাবশালী নান্নু মিয়া তাকে ছেড়ে দেয়। সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ফুলকোট গ্রামের এক বিধবা মহিলা (৫৫) দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে জীবন যাপন করেন। সারাদিন সে অন্যের বাড়িতে ভিক্ষা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।গত ১৮ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে প্রতিদিনের মতোই টিনের একটি ছাপড়া ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন ওই বিধবা ভিক্ষুক মহিলা। ওই সুযোগে রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে প্রতিবেশী মৃত্যু আমির উদ্দিনের ছেলে তিন সন্তানের জনক রুবেল হোসেন (৪৫) দরজার বেড়া কেটে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই বিধবার চিৎকারে রুবেল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকার লোকজন রুবেলকে আটক করেন। পরে রুবেলকে থানায় সোপর্দ করার জন্য স্থানীয় থানা পুলিশকে খবর দেয়ার চেষ্টা করেন এলাকাবাসী। ঠিক সে সময় ওই এলাকার নাম নান্টু নামের এক প্রভাবশালী বিচারের আশ্বাস দিয়ে রুবেলকে এলাকাবাসীর হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এ বিষয়ে নান্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে নান্টু বলেন, বিধবাকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা সত্য। তবে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার কথা ছিল। সেজন্য রুবেলকে ছেড়ে দেই। কিন্তু ঘটনার পর থেকে রুবেলকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমি তার উপকার করতে গিয়ে এখন বেকাদায় পড়ে গেছি। স্থানীয়ভাবে বিচার না পেয়ে গত ২০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে শাজাহানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই বিধবা ভিক্ষুক মহিলা। অভিযোগে ধর্ষণের চেষ্টা কারী রুবেল এবং তার দুই সহযোগী মিঠুন মিয়া (৩৫) ও উজ্জ্বল হোসেন (৩৬) নাম উল্লেখ করেন। ঘটনার বিচারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দিলেও ঘটনায় জড়িত কেউ এখন পর্যন্ত আটক হয়নি।এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, ঘটনা টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে