বগুড়ার শাজাহানপুরে জমিতে পানি সেচ নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সহ চার জনকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।বুধবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শামীম আহমেদ বাদি হয়ে পুলিশ সদস্য সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
ছাত্রলীগ নেতা শামীম জানান, উপজেলার ক্ষুদ্র ফুলকোট গ্রামে তাদের সেচ স্কীম রয়েছে। বিগত ৩০ বছর যাবদ তারা সেচকার্য চালিয়ে আসছেন। এই সেচ স্কীম নিয়ে প্রতিবেশী মৃত ইছাহাক দেওয়ানের ছেলে মোজাম্মেল হক দেওয়ান ও তার ছেলেদের সাথে দ্বন্দ চলে আসছে। ইতিপূর্বে উপজেলা চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে ডেকে আপোষ-মিমাংসা করে দেন। কিন্তু বুধবার সকাল ৮টার দিকে মোজাম্মেল হক দেওয়ানের ছেলে পুলিশ সদস্য ফরহাদ হোসেন (৩৫) একদল বহিরাগতদের ভাড়া করে নিয়ে এসে তাদের সেচ পাম্প থেকে ড্রেন করে বিলকেশপাথার কচুয়ার বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড এর বাঁধ কেটে ছাত্রলীগ নেতার সেচ স্কীমের ভিতর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বাঁধা দিলে পুলিশ কনস্টেবল ফরহাদ হোসেন ও তার বাবা, ভাইসহ বহিরাগত ভাড়াটিয়ারা ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করে। মারপিটে ছাত্রলীগ নেতা শামীম ও তার বাবা আব্দুস সামাদ দেওয়ান, চাচা আব্দুর রশিদ, চাচাতো ভাই রবিন গুরুতর আহত হন। এঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধ কেটে এভাবে ড্রেন করা হলে হুমকির মুখে পড়বে বাঁধ। তাছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ-মিমাংসাও করে দিয়েছেন। তারপরও দলবল নিয়ে এসে এভাবে মারপিট করা মোটেও ঠিক হয়নি।
পুলিশ সদস্য ফরহাদ হোসেন জানান, তিনি পুলিশের নায়েক। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) চাকরী করেন। ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। কোন দলবল নিয়ে যাওয়া হয়নি। পানি সেচের জন্য ড্রেন করার সময় তারাই এসে মারপিট করেছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দীন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।