যে প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে অন্যের সাহাস্য জোগাতো আজ সে নিজেই ভুক্তভোগী। নিজের বসত দেওয়াল ঘর বৃষ্টিতে ভিজে ধসে পড়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার অন্তর্গত নুনগোলা ইউনিয়নের আশোকোলা পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত ওমর আলী মন্ডল এর পুত্র বর্তমান নামুজা -বুড়িগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক, সাংবাদিক আনিছার রহমান দুলাল।সে পেশায় একজন সাংবাদিক। অনেকেই জানেন যে মফস্বল সাংবাদিকতায় কোন বেতন ভাতা নেই। সারাদিন তিনি সংবাদের পিছু ছুটে সামান্য কিছু সম্মানী পেয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে পূর্বপুরুষের ভিটামাটিতে তৎকালী মাটির দেওয়ালের বাড়িতে বসবাস করেন। কালকূমে বর্তমানে মাটির বাড়ি বৃষ্টির পানিতে ধসে পড়ে। অনেকটা ফাটল ধরলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তার নিচে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। অর্থের অভাবে তিনি ঘর-দরজা মেরামত করতেও পারতেন না। গত ১মাস পূর্বে তাঁর পাশের দেওয়াল ঘর ধসে পড়ে। সেটাতে তিনি কোন মোতে বাঁশ, খুটি দিয়ে আটকে রেখে তার নিচ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করে। শনিবার (১২সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় বৃষ্টির সময় হঠাৎ তার শয়নকক্ষের মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। এসময় সাংবাদিক দুলাল স্ত্রী- সন্তানদের নিয়ে চিৎকার করে প্রাণ বাঁচাতে বৃষ্টিতে ভিজেই বাহিরে বের হয়। এবিষয়ে মনে আক্ষেপ নিয়ে অসহায় সাংবাদিক দুলাল জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করে আসছি। আমার সাথের অনেক সাংবাদিকেরা অনেকেই জমিজমা ও দালান কোঠা তৈরী করেছেন। কিন্তু আমি সৎ উপায়ে চলছি বলে আজ আমার এই কষ্ট। পরিবারে আর্থিক সংকটের কারণে আমি আমার ঘরবাড়ি নির্মাণ ও সফলতা আনতে পারিনি। পারিনি আমার সংসারে অভাব-অনটন দূর করতে। তিনি কষ্টশয্যিত হয়ে বলেন, আমার থাকার একমাত্র ঘর ধসে পড়ে গেছে। বর্তমানে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সংসার চালানো তার পক্ষে খুবই কষ্টকর। এমতাবস্থায় তার প্রতি সাহাস্য সহায়তা সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারি ভাবে বগুড়া জেলা প্রশাসন জিয়াউল হক ও উপজেলা অফিসার আজিজুর রহমানকে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
মন্তব্য