বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী (৯) কে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ২ সন্তানের জনক রোজিত হোসেন (৩৬) বিরুদ্ধে। রোজিত চোমরপাথালিয়ার বাবলু মিয়ার ছেলে।
জানাযায় মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ৩ টার দিকে চোমরপাথালিয়া উত্তর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তোভোগী ছাত্রীর মা জানান, রোজিত হোসেন গত ৩ দিন পুর্বে তার মেয়েকে ধর্ষণ করলে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চক্ষু লজ্জায় কাউকে কোন কিছু না বলে বিষয়টি গোপন রাখা হয়। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ৩ টার দিকে মেয়েকে বাড়িতে রেখে কাজ করার জন্য সে বাহিরে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় রোজিত আবার বাড়িতে ডুকে ধর্ষনের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করে। মেয়ের চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে রোজিতকে দেখে বাড়ীর গেট বন্ধ করে দেয়া হলেও সে কৌশলে পালিয়ে যায়। এদিকে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজীউর রহমান জানান এই ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই রোজিতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও জানান আজ বুধবার শজিমেক হাসপাতালে ভিকটিমের মেডিক্যাল টেষ্ট করা হবে।