বগুড়ার শেরপুরে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল ধর্ষক ও সালিশকারীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ। ২৮ অক্টোবর ভোর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার জামাইল স্কুল পাড়ার হাসান আলী ভাসানের ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল (১৯), জামাইল হাটখোলাপাড়ার মৃত বাচ্চু ফকিরের ছেলে মোঃ আব্দুল জলিল (৩২), জামাইল মজলীশপাড়ার খোকা প্রামাণিকের ছেলে মোঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫৫)। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর বেলা ১১ টায় উপজেলার জামাইল স্কুল পাড়ার হাসান আলী ভাসানের ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল (১৯) তার নিজ বাড়ীর শয়ন ঘরে একই এলাকার হাটখোলাপাড়ার মৃত বাচ্চু ফকিরের ছেলে মোঃ আব্দুল জলিল (৩২) এবং মজলীশপাড়ার খোকা প্রামাণিকের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫৫) মিলে (বুদ্ধি প্রতিবন্ধি প্রকৃতির) নার্গিস খাতুন (২২) কে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজনি হলে এলাকার কতিপয় দালাল শ্রেনীর লোক ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মামলার বাদি ও তার পরিবারকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। পাশাপাশি ঘটনাটি যেন থানা পুলিশ পর্যন্ত না গড়ায় সেজন্য আসামীরা ভিকটিম ও তার পরিবারকে ব্যাপক ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকীসহ গ্রাম ছাড়া করার ভয় দেখায়। এছাড়া আটক গ্রাম্য মাতব্বর সহ বেশ কয়েকজন মাতব্বর বিষয়টি মীমাংসার জন্য শালিশী বৈঠক করে। গৃহবধূর পরিবার বিষয়টি পরে শেরপুর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ নির্যাতিতা ঐ গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় থানায় গত ২৮ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষক ও এক গ্রাম্য মাতব্বার কে আটক করা হয়েছে। মামলার এজহারভুক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের ধরতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।