বোরকা কিনে দেওয়ার কথা বলে রংপুর নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে গেলে স্বজনরা তাকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে মিঠাপুকুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।শনিবার রাতে রংপুর মেডিকেলে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন ওই কলেজছাত্রী জানান, শনিবার বিকেলে বোরকা কিনে দেওয়ার কথা বলে মিঠাপুকুর উপজেলার বৈরিগঞ্জ থেকে তার প্রেমিক মিজানুর রহমান তাকে রংপুর নগরীর সালেক মার্কেটে নিয়ে আসে। এ সময় জোর করে পাশে রংপুর আবাসিক হোটেলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে সটকে পড়ে। বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে মেডিকেলে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বলেন, মিজান আমাকে বোরকা কিনে দেবে বলে সালেক মার্কেটে নিয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে সে আমাকে হোটেলে নিয়ে যায়। হোটেলে গিয়ে সে আমার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর ভাই বলেন, ভাই হিসেবে আমার মনে কি চলছে, সেটা একমাত্র আমি জানি। এ রকম যেন কারও বোনের সঙ্গে না হয়। আমি মিজানের বিচার চাই।
তবে ওই আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনাটি অস্বীকার করে।
রংপুর আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের এখানে আসে নাই। আমরা বলতে পারব না। আমাদের এখানে আমরা কাগজপত্র ছাড়া আমরা কোনও মেয়েকে হোটেলে উঠাই না।
খবর পেয়ে মিঠুপুকুর থানা-পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনাস্থল হিসেবে আলোচনায় আসায় মহানগর পুলিশও বিষয়টির খোঁজখবর নিচ্ছে।
মিঠাপুকুর থানা উপপরিদর্শক আজাদ মিয়া বলেন, যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে বা সন্দেহ করা হচ্ছে তার বিষয়েও তাকে গ্রেফতারের জন্য যথাযথভাবে কার্যক্রম চলছে।
ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীকে রংপুর মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসি সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে।