ট্যারিফ কমিশন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে মোটরসাইকেল খাতের দুই সংগঠনের একটি মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। সংগঠনটির আবেদনের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিসি সীমা তোলা নিয়ে ট্যারিফ কমিশনকে প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। দেশে ১৬৫ সিসির ওপরে মোটরসাইকেল আমদানি ও বাজারে ছাড়া নিষিদ্ধ। তবে রানার অটোমোবাইলসকে সরকার ৫০০ সিসির মোটরসাইকেল তৈরি করে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে দেশে মোটরসাইকেলের সিসি সীমা ছিল ১৫৫। পরে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সিসি সীমা ১৬৫-তে উন্নীত করা হয়। পুলিশের ক্ষেত্রে সিসি সীমা কার্যকর হয় না।
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের মোটরসাইকেলশিল্প উন্নয়ন নীতি অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে দেশে ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। কমিশন মনে করে, স্থানীয় মোটরসাইকেলশিল্পের বিকাশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ইঞ্জিনক্ষমতার সীমা তুলে নেওয়া দরকার। তবে স্থানীয় শিল্পের কথা বিবেচনা করে আপাতত ৩৫০ সিসি পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া যায়। তবে তা ৫০০ সিসি করা এবং একপর্যায়ে সীমা তুলে নেওয়া যেতে পারে।
কমিশন এ-ও বলেছে যে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারীর যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী বা ভেন্ডর এক বা একাধিক যন্ত্রাংশ তৈরি করে মূল উৎপাদনকারীকে সহায়তা করে। মূল উৎপাদনকারীর বাজার সম্প্রসারিত হলে ভেন্ডরের বাজারও বড় হয়। স্থানীয় বাজারে মোটরসাইকেলের সিসি সীমা নির্ধারিত থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে। ফলে ভেন্ডর নিরুৎসাহিত হয়। স্থানীয় ভেন্ডারদের আন্তর্জাতিক বাজারে স্পেয়ার পার্টস উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সিসি সীমা অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে।