বগুড়ার শেরপুরে জ্বালানি তেল চুরির অভিযোগে করা মামলায় আজ রোববার ট্যাংকলরির চালক ও তাঁর সহকারীকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই ট্যাংকলরি থেকে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের জ্বালানি তেল সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে গতকাল শনিবার থানায় মামলা হয়। প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তেলের মালিক মুন্নাফ আলী গতকাল থানায় মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, নয় হাজার লিটার পেট্রল ও ডিজেল চুরি হয়েছে। তিনি ট্যাংকলরির চালক ও তাঁর সহকারীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন ট্যাংকলরির চালক সিরাজুল ইসলাম (৪৫) ও তাঁর সহকারী রফিকুল ইসলাম (২৮)। তাঁদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায়। আজ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়ার কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী মুন্নাফ আলী। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত আটটায় তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ওই চালকের ট্যাংকলরিতে পেট্রল ও ডিজেল লালমনিরহাটের লাবনা পাম্পে উদ্দেশে পাঠানো হয়। এই তেলের গাড়ি পরের দিন শেরপুর থানার ধুনট রোডের রনবিলবালা এলাকার একটি মাঠের পাশে পাওয়া যায়। গাড়ির ট্যাংক থেকে হদিস নেই অন্তত পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের নয় হাজার লিটার পেট্রল ও ডিজেল।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, সম্ভবত এই তেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। ট্যাংকলরির চালক ও তাঁর সহকারী মধ্যেও এলোমেলো কথাবার্তা পাওয়া গেছে। চালকের মাথায় সামান্য আঘাতও রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে এই মামলায় ট্যাংকলরির চালক ও তাঁর সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চুরি যাওয়া তেল উদ্ধারে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।