বগুড়ায় নির্বাচনের আগে হাতে মেহেদী দিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আঙুলের ছাপ মেলাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে কয়েকজন নারীকে। এ কারণে ভোট দিতেও বিলম্ব হয়েছে। অনেকে বাড়ি ফিরে গিয়ে হাতের মেহেদী তুলে আবার ভোটকেন্দ্রে যান। তবে কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়েই ফিরে গেছেন।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনের ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রগুলোতে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটেছে।
বগুড়া সরকারি ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাজমুন নাহার জানান, তিনি রোববার সকালে শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইভিএম মেশিনে তার আঙুলের ছাপ মিলছিল না। বারবার চেষ্টা করেও না হওয়ার পর ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা তাকে জানান, হাতের আঙুলে মেহেদীর রঙের কারণে ছাপ মিলছে না। তারা তাকে আঙুলে লাগানো মেহেদীর রঙ তুলে আসতে বলেন।
নাজমুন নাহার বলেন, পরে আমি বাসায় ফিরে সাবান দিয়ে বেশ কয়েকবার হাত ধুয়ে আবার দুপুরে ভোটকেন্দ্রে যাই। তখন আঙুলের ছাপ মিলে যায় এবং ভোট দিতে সক্ষম হই।ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ব্যবসায়ী রাজেদুর রহমান রাজু জানান, ওই কেন্দ্রে একই সমস্যায় পড়েছিলেন ২০১৫ সালে সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিনও। হাতের আঙুলে মেহেদীর রঙ থাকায় তারও ফিঙার প্রিন্ট মিলছিল না। যে কারণে সাবিনা ইয়াসমিনও সেন্ট্রাল হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে পারছিলেন না। পরে তিনি বাসায় গিয়ে হাত ধুয়ে পরে ভোট দিয়ে যান।
বগুড়া সেন্ট্রাল হাইস্কুল কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. জাকিরুল ইসলাম জানান, তার জানামতে হাতে মেহেদী থাকার কারণে দু’জন নারীর আঙুলের ছাপ মেলেনি। ফলে তারা ভোট দিতে পারেননি।
বগুড়ার ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আরিফুর রহমান জানান, আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে অনেক নারী শহরের ঠনঠনিয়া নুরুন আলা নূর ভোটকেন্দ্র থেকে ফিরে গেছেন। ফিরে যাওয়া অনেকের নাম এ মুহূর্তে মনে করতে পারছি না। তবে তাহেরা বানু নামে একজনের নাম মনে পড়ছে, যিনি তিনবার চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারেননি। কারণ তার আঙুলের ছাপ মেলেনি।
ওই কেন্দ্রে নারী ভোটারদের জন্য খোলা একটি বুথে ইয়াছিন আলী নামে ভোট গ্রহণকারী এক কর্মকর্তা জানান, নারী ভোটারদের আঙুলের ছাপ মেলাতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে তাদের ভোট দিতেও বিলম্ব হচ্ছে।