বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীর দুর্গম চরে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী ও ছয় মাসের শিশুকন্যাকে হত্যার পর ভুট্টাখেতে লাশ গুম করে রাখার অভিযোগ উঠেছে আল আমিন শেখের (২৮) বিরুদ্ধে। উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নের শংকরপুর চর থেকে গতকাল রোববার মা–মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। গত শনিবার রাতের কোনো এক সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার অভিযোগ এনে আল আমিন শেখের বিরুদ্ধে সারিয়াকান্দি থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। আমিন শেখ দক্ষিণ শংকরপুর চরের দুলাল শেখের ছেলে। অন্যদিকে শেফালি দক্ষিণ শংকরপুর চরের ওসমান আলী মণ্ডলের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আট বছর আগে আল আমিনের সঙ্গে শেফালির বিয়ে হয়। ছয় মাসের শিশুকন্যা রোমানা ছাড়া তাঁদের দুটি ছেলেসন্তান আছে।
শেফালির চাচাতো ভাই ইউসুফ আলী অভিযোগ করেন, বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে শেফালিকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন স্বামী আল আমিন ও তাঁর পরিবারের লোকজন। গত শনিবার রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। ঝগড়ার একপর্যায়ে শেফালি ও তাঁর শিশুকন্যাকে হত্যার পর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভুট্টাখেতে লাশ গুম করে রাখেন তিনি। সকালে খবর পাঠায়, শেফালি ও তাঁর সন্তানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লাশ উদ্ধারের পর আল আমিন পালিয়ে যান।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।