Logo




আজ বিশ্ব পানি দিবস

স্টাফ রিপোর্টার:
আপডেট করা হয়েছে : সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১

পানি ছাড়া অচল জীবন। মানুষ, পশুপাখি, প্রকৃতি সবার জীবন পানির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাইতো বিশ্বের চার ভাগের মধ্যে তিন ভাগই পানি। তবুও বিশ্বে সুপেয় পানির সংকট চলছেই। তাই পানির গুরুত্ব অনুধাবন করেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিবছর ২২ মার্চ পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব পানি দিবস।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০২১’ পালিত হচ্ছে। ‘ভ্যালুয়িং ওয়াটার’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার ও বিভিন্ন পরিবশেবাদী সংগঠনগুলো। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

ইউনিসেফের এক সমীক্ষা বলছে বাংলাদেশের মাত্র ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ পুরোপুরি নিরাপদ পানি পাচ্ছে। এ হিসেবে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এখনও সুপেয় পানি পাচ্ছেন না। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলোতে সুপেয় পানি যেন এক সোনার হরিণ। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চল এবং পাহাড়ি এলাকায় শুষ্ক মওসুমে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। 

এদিকে, পানি দিবস সামনে রেখে শনিবার (২০ মার্চ) রাজধানীতে একটি সেমিনারের আয়োজন করেছিল পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। এতে দেশের পানিসম্পদ রক্ষায় ৯টি সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশের মধ্যে অন্যতম হলো- ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্য বাড়ানোর পাশাপাশি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। এ ছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তাগিদ দিয়ে বলা হয়েছে, খরা মৌসুমে সেচ ও রাসায়নিক সারনির্ভর ধান চাষের পরিবর্তে প্রকৃতিনির্ভর ধান চাষের উদ্যোগ নেওয়া, সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেওয়া ও অবৈধ দখলদারির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া এবং অপরিশোধিত শিল্প-কারখানায় বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ করা। এছাড়া ঢাকার আশপাশের নদীসহ অন্য সব নদী ও জলাশয় দখল, ভরাট ও দূষণরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, নদীর পানি কৃষি ও শিল্পে এবং পরিশোধন করে খাবার পানি হিসাবে ব্যবহার করা, নদীর প্রবাহ ও নাব্য যথাযথ রাখার জন্য নদীতে পিলার সমৃদ্ধ ব্রিজের পরিবর্তে ঝুলন্ত ব্রিজ বা টানেল নির্মাণ করা এবং নিরাপদ পানি নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট আইনগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও’তে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানি সম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং এরপর থেকে এ দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com