চাল আমদানীতে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়া হলেও এখনও নির্দেশনা পৌঁছায়নি হিলি স্থলবন্দরে। এদিকে নির্দেশনার চিঠির অপেক্ষায় সীমান্তে আটকা পরে আছে চাল ভর্তি অন্তত সাত’শ ট্রাক। ফলে আমদানি করা চাল খালাস করতে না পারায় বন্দর চার্জসহ অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তবে কবে নাগাদ নির্দেশনার চিঠি আসবে এ বিষয়ে কিছুই জানে না বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ভারত থেকে চাল আমদানীতে শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহারের কথা থাকলেও সরকার শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করেছে। এছাড়া রেগুলেটর ডিউটি পুরোপুরি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও এখনো চিঠি আসেনি হিলির স্থলবন্দরে। এতে বন্দরের অভ্যন্তরে অপেক্ষায় রয়েছে দেড় শতাধিক চাল বোঝাই ট্রাক। আর ভারত অংশে আছে প্রায় ৫’শ ট্রাক।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দর থেকে চাল খালাস করতে না পারলে প্রতিদিন আর্থিক ক্ষতির মুখে পরতে হবে তাদের। এ সম্পর্কে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমদের প্রায় ৫০ টন চাল আটকা পরে আছে। আর ডিউটি দিয়ে চাল খালাস করলে আমাদের অনেক টাকা গুনতে হবে । এতে আমাদের ক্ষতি হয়ে যাবে।’
এদিকে শুল্ক কমানো নির্দেশনার চিঠি কবে নাগাদ আসবে এ বিষয়ে কোন ধারনা নেই বন্দর কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে হিলির কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা ফখর উদ্দিন বলেন, ‘শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়েছে এ সম্পর্কে আমরা দৈনিক পত্রিকায় পড়েছি। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোন আদেশ আসেনি। কবে আসবে এ বিষয়ে জানা নেই আমাদের। ’
শুল্ক কমানোর পর চাল আমদানি শুরু হলে কয়েক মাস ধরে ঊর্ধ্বগতি চালের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করেন ব্যবসায়ীরা। সূত্র: একাত্তর টিভি।