বিয়ের অনুষ্ঠানটা কয়েক দিনের হলেও এই একটি পদক্ষেপ পুরো জীবনকেই বদলে দেয়। তাই ভেবে চিন্তেই পা বাড়ানো উচিত। এ কারণেই পরিবারের চাপেই হোক আর নিজের ইচ্ছায় হোক- নিজেই বিবাহিত-জীবন শুরু করতে প্রস্তুত কিনা সেই বিষয়ে আগে নিশ্চিত হওয়া দরকার।
তাই মানসিকস্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কয়েকটি বিষয়ে এখানে দেওয়া হল, যেগুলো নিজের সঙ্গে মিলিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে পারেন আসলেই আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত কিনা।
* আপনি কি কাজ নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন? জীবনে বড় কিছু হওয়াই যদি মূল লক্ষ্য হয় তাহলে সেই মুহূর্তে বিয়ে করবেন কিনা তা ভাবা উচিত। কারণ বিয়ের পর নিজের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব বেড়ে যাবে। আর সেখানেও কিছু সময় দিতে হবে।
* হবু জীবনসঙ্গীকে নিয়ে আপনি খুশি। তারপরও মাঝেমধ্যেই প্রাক্তনের কথা ভেবে মন খারাপ হলে ভাবতে হবে আবারও।
* অনেক দিন একা থাকার পর নতুন সম্পর্ককে যদি জীবনের শূন্যতা দূর করার উপায় ধরে নেন, তাহলে কিছুটা সময় নেওয়া উচিত। নতুন সম্পর্কে নিজেকে মানিয়ে নিতে কিছুটা বাড়তি সময় নিন।
* সব বন্ধুরা বিয়ে করছে, এই জন্য আপনাকেও গাঁটছড়া বাঁধতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
* সব সময় স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করেছেন। তাই হুট করে আরেক জনের সঙ্গে জীবন ভাগ করার চিন্তা যদি দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আপনার আরও কিছু সময় প্রয়োজন।
* যদি দীর্ঘদিনের প্রেমের পরেও নিজেদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়ে থাকে তাহলে তা গুছিয়ে নিতে সময় নিন। কারণ বিয়ের জন্য দুজনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকা জরুরি।
* সম্পর্কের সমস্যা ঠিক করার জন্য যদি মনে করেন বিয়েই একমাত্র সমাধান, তাহলে ভুল ভাবছেন। বিয়ে হলে সব ঠিক হয়ে যাবে বা সঙ্গী বদলে যাবে এমন ধারণা অমুলক।
* একে অপরের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না বা সন্দেহ আপনাদের ঝগড়ার মূল কারণ। তাহলে বিয়ে না করাই ভালো। একে অপরের কাছ থেকে কথা লুকিয়ে রাখলেও বিয়ে করার সিন্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসাই ভালো।
* আপনিকি আসলেই আপনার সঙ্গীকে ভালোবাসেন, নাকি তা মোহ! বিয়ে করার আগে ভেবে দেখুন আরও একবার!