মাসুম হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বগুড়া শাজাহানপুর গোহাইল ইউনিয়নের তারইল গ্রামে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে চলছে আপোষের চেষ্টা। গৃহবধু মনিরার স্বজনরা বলছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে তার শ্বশুর বাড়ির আত্বীয়রা বলছে সে পরকিয়ার কারনে আত্বহত্যা করেছে।
গৃহবধু মনিরার বাবা খোরশেদ আলম জানান, তার মেয়েকে হত্যা করে লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। তার মেয়ে বুধবার বিকেলে স্বামীর বাড়ি যায় আর বৃহস্পতিবারে তাকে হত্যা করা হয়। এর আগে ৩দিন যাবৎ তার মেয়ে স্বামীর সঙ্গে তার বাড়িতেই ছিল। তবে কেন তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে এবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তার মেয়ের কোন পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল না।
গৃহবধুর স্বামী রানা মিয়ার বোন রুপালি বেগম জানান, মনিরা খাতুনের বিয়ের আগে থেকেই এক প্রবাসীর সঙ্গে প্রেম ছিল। ওই প্রবাসী কিছুদিন আগে দেশে এসেছে এ নিয়ে পরিবারে দ্বন্দ চলছিল। তার বাবা আব্দুল কাদের ২য় বিয়ে করে অন্য বাড়িতে থাকে। মনিরা খাতুন যে বাড়িতে আত্বহত্যা করেছে সেখানে তার ভাই রানা, মনিরা ও তার মা থাকতো। পারিবারিক দ্বন্দের কারনে তারা কেও রানার সঙ্গে থাকে না। মনিরার বাবা বিষয়টি আপোষ করতে সাড়ে ৩লক্ষ টাকা চেয়েছেন। টাকা দিলে উনারা মামলা করবে না। এই টাকার মধ্যে থানার খরচও রয়েছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান জানান, আত্বহত্যা করেছে কিনা এবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে লাশের প্রাথমিক অবস্থা দেখে তার সন্দেহ হয়েছে এটা খুন না আত্বহত্যা। তিনি আরও জানান, সাড়ে ৩লক্ষ টাকা দিয়ে আপোষ হতে পারে একথা তিনি শুনেছেন তবে টাকার লেনদেন এখনো হয়নি। বিষয়টি আপোষের চেষ্টা করছেন জালাল উদ্দিন প্রামাণিক।
জালাল উদ্দিন প্রামনিক জানান, তিনি বিষয়টি আপোষের চেষ্টা করছেন না। আর ওই গৃহবধু আত্বহত্যা করেছে। তাকে কেও হত্যা করেনি।
ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানী জানান, তিনি শুনেছেন গৃহবধু আত্বহত্যা করেছে।
শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক(সার্বিক)জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।