মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার মাদক কারবারিরা গ্রেফতার আতংকে রয়েছেন। থানার ওসি’র মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহনে অনেক মাদক ব্যবসায়ীই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। কিন্তু কৌশলে মাদক ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এদিকে উপজেলা থেকে মাদক নির্মূলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সহায়তা কামনা করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, মাদক বিরোধী অভিযানে উপজেলার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ভোট, আব্দুর রাজ্জাক নিলু, মন্তেজার রহমান, ফিরোজ আলমসহ চিহ্নিত মাদক কারবারি নাজমুল হাসান ওরফে বড় রাজু, রাজু আহম্মেদ ওরফে ছোট রাজু, মোহাম্মদ আলী, নজরুল ইসলাম, লিমন ওরফে বুলেটকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ইতিমধ্যে অনেক মাদক কারবারি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, পুলিশের মাদক বিরোধি অভিযানে কুখ্যাত মাদক কারবারিসহ চিহ্নিত মাদক কারবারিরা গ্রেফতার হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা আতংকে রয়েছেন। এখনো যারা ধরা পড়েনি তারা মাদক বিক্রির ধরণ পাল্টে ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছেন। মাদক কারবারিরা বাড়িতে না থেকে কৌশলে তারা মাদক ব্যবসায় টিকিয়ে রেখেছে। চিহ্নিত মাদকের স্পটগুলোতে মাদক লেনদেন ও বিক্রি না করে স্পট পরিবর্তন করেছে অনেক মাদক ব্যবসায়ী। মাদকের স্পট গুলোর মধ্যে মাদলা এলাকায় ১০টি স্পট রয়েছে, জোকা ঘাষিড়ায় রয়েছে ৩টি স্পট, পারতেখুর ও সাজাপুর গ্রামে ৭টি স্পটে মাদক বিক্রি হয়, বনানী ও গন্ডগ্রাম এলাকায় ২টি স্পটে, কৈগাড়ি ও ফুলদিঘি এলাকায় ৩টি, রানিরহাট ও বয়রাদিঘি এলাকায় ৫টি , সাবরুল এলাকায় ২টি, দুবলাগাড়ি এলাকায় ৩টি, আমরুল ইউনিয়নের জায়দার পাড়ায় ২টি, শাহনগর এলাকায় এলাকায় ৫টি, মালিপাড়া এলাকায় ২টি স্পটসহ উপজেলায় প্রায় ৫০টি স্পটে মাদক বিক্রি হয়। কিন্তু বর্তমানে পুলিশের অভিযানে বড় মাদক কারবারিরা গ্রেফতার হয়েছে এতে অন্যরা গ্রেফতার আতংকে থাকলেও থেমে রাখেনি মাদক বিক্রি। প্রকাশ্যে মাদকের বিক্রি না করে স্থান পরিবর্তন করে কৌশলে মাদক বিক্রি করছে তারা।
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন এবং যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মাদক বিরোধি অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদক কারবারিদের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে উপজেলা থেকে মাদক নির্মূল করা সহজ হবে।