মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০দিনের কর্মসূচির কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ কর্মসূচিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের দাঁয়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, মকবুল হোসেন ও ফাতেমা ইসলামের বিরুদ্ধে শ্রমের মজুরি না দেয়ার অভিযোগ তুলেছে শ্রমিকরা।
এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরের ২৮জুন-এর পরে ৪০দিনের কর্মসূচির কোন কাজ হবে না বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে শ্রমিকরা ৩৫দিনের মজুরী পাবে। এর পরেও যদি কেও শ্রমিকদের দিয়ে অতিরিক্ত ৫দিন কাজ করে নেয় তাহলে সেই দায়ভার তারা নিবে না।
জানাগেছে, রমযান মাসে উপজেলার মাদলা ইউনিয়নে এই কর্মসূচির ৮২জন শ্রমিকের ১৩দিন কাজ বন্ধ রেখেছিল প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা। স্থগিত করা ১৩দিনের কাজ চলতি বছরের ১৮ই জুন থেকে শুরু করে ৪ঠা জুলাই পর্যন্ত শ্রমিকদের দিয়ে করে নেয় ইউপি সদস্যরা। কিন্তু শ্রমিকদের ৮দিনের মজুরি দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। অপরদিকে শ্রমিকরা তাদের পুরো শ্রমের টাকা দাবি করেছে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শ্রমিকরা ৪০দিন করে মোট ৮০দিন কাজ করেছে সেখানে তাদের দিন ১৭৫টাকা করে মজুরি দেয়া হয়েছিল। বাকি ২৫টাকা করে কেটে রাখা হয়। কাজ শেষে সেই টাকা দেয়ার কথা, কিন্তু সেই টাকা পাওয়া নিয়েও শ্রমিকেরা আশংকা প্রকাশ করেছেন। এমনকি তারা মাদলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধেও কাজে অনিয়ম করার কথা বলছেন। চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান তাদেরকে দিয়ে ৪০দিনের কর্মসূচির বাইরে অন্য কাজও করে নিয়েছে এমনটাই দাবি শ্রমিকদের।
এই কর্মসূচির শ্রমিক আব্দুল মান্নান, আব্দুল সাত্তার, মোমেনা বেগম, রুবিয়া বেগমসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, মকবুল হোসেন ও ফাতেহা ইসলাম ১৩দিনের কাজের বিনিময়ে তাদেরকে ৮দিনের টাকা নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। কিন্তু তারা পুরো পারিশ্রমিকের টাকাই দাবি করেন সেই সঙ্গে তাদের দৈনিক মজুরি থেকে কেটে রাখা ২৫টাকা ফেরত পাবে কিনা এনিয়েও অনেকে আশংকা প্রকাশ করেছেন। এমতাবস্থায় শ্রমিকরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের পারিশ্রমিকের ন্যার্য মূল্য পাওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা আরও জানান, মাদলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান কর্মসূচির বাইরে অন্য কাজও তাদেরকে দিয়ে করে নিয়েছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ১৩দিন কাজ করে নেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে ৮দিনের মজুরী দেওয়া হবে বলে তাদেরকে জানানো হয়েছে। এ কথাটাই তিনিসহ অন্য ইউপি সদস্যরা শ্রমিকদের জানালে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে দোষারোপ করছে।
মাদলা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জানান, ৫দিন অতিরিক্ত কাজ করে নেয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা জানেন। আর ওই কর্মসূচির বাইরে একদিন তিনি রাস্তার কাজ করে নিয়েছেন।