মাসুম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার শাজাহানপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন সান্নু ও তার কর্মিদের বিরুদ্ধে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল বাশারের প্রচারণায় বাধা ও বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল বাশার গত বৃহস্পতিবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগ ভিত্ত্বিহীন বলে দাবি করেছেন সরকারদলীয় প্রার্থী সোহরাব হোসেন সান্নু।
আবুল বাশার জানান, তিনি আনারস প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী। আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী সোহরাব হোসেন সান্নু প্রায় প্রতিদিনই মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তাকে ও তার কর্মী, সমর্থকদেরকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছেন, মারধর করছেন। এতে তিনি স্ত্রী সন্তান ও কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নিরাপত্ত্বাহীনতায় রয়েছেন। রোববার উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের মাঝিড়া বান্বিঘাটা এলাকায় তার প্রচার মাইক ভেঙ্গে ফেলেছে সান্নুর লোকজন। এ সময় ভ্যানচালক খোরশেদ আলমকে মারধরও করেছে তারা। এর আগে গত শনিবার তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার উপজেলার আড়িয়া বাজার এবং বি-ব্লক এলাকায় তার পক্ষে গণসংযোগ ও হ্যান্ডবিল বিলি করছিলেন। কিন্তু আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন সান্নুর কর্মিরা হুমকি-ধামকি দিয়ে হ্যান্ডবিল ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও ওই দিন সকালে হাসান নামে তার এক কর্মী পোষ্টার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে নয়মাইল এলাকায় সান্নুর সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন তাকে মারধর করে। এসময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
ভ্যানচালক খোরশেদ আলম জানান, আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল বাশারের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে তিনি গতকাল রোববার বিকেলে মাঝিড়া বান্বিঘাটা এলাকায় পৌঁছালে সাত-আটটি মোটর সাইকেলের একটি বহর তাকে ঘিরে নিয়ে মাইক ভাংচুর করে পুকুরে ফেলে দেয়। এ সময় তাকেও মারধর করে তারা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) সুশান্ত কুমার সাহা জানান, মাইক ভাংচুরের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আ.লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেন সান্নু তার ওপর আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আবুল বাশার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। তিনি বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশ আমান্য করে স্বতন্ত্র ভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। একারণে বিএনপির নেতা-কর্মিরা ক্ষিপ্ত হয়ে এসব কাজ করতে পারে।
সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াছমিন জানান, মাইক ভাংচুরের ঘটনা আমরা শুনেছি। উপজেলায় নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।