স্টাফ রিপোর্টার:বগুড়ার শাজাহানপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাব্বারুল ইসলাম(৩০)নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের বড়চান্দাই গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক ওই গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুস প্রামাণিকের পুত্র। নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে তাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ।
এ ঘটনায় স্মৃতি নামের এক নারীকে আজ শুক্রবার পুলিশ আটক করেছে বলে জানাগেছে। তবে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন ওসি মো. আজিম উদ্দিন।
নিহতের মামা এনামুল হক জানান, নিহত জাব্বারুল কৃষি কাজ করতো। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে জাব্বারুল বাড়ির পাশে এক দোকানের সামনে ক্যারাম বোর্ড খেলছিলো। এ সময় তাকে মুঠোফোনে তারই বাড়ির পিছনে ডাকা হয়। সেখানে গেলে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয় তাকে । পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জাব্বারুলের আত্মীয়-স্বজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত জাব্বারুলের বাড়ির পিছনেই স্মৃতি (২৮) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়ি। ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে কয়েকমাস যাবৎ এলাকার কিছু যুবকের সঙ্গে জাব্বারুলের দ্বন্দ চলে আসছিলো। এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। স্মৃতি বড় চান্দাই গ্রামের মালোয়েশিয়া প্রবাসী ফারুক হোসেনের স্ত্রী।
শাজাহানপুর থানার ওসি মো. আজিম উদ্দিন শুক্রবার জানান, এখন পর্যন্ত হত্যার কারণ জানা যায়নি। কাউকে আটকও করা সম্ভব হয়নি। হত্যার নেপথ্যে পরকীয়া আছে কিনা এ বিষয়েও কিছু জানা যায়নি।