আছে আইন, আছে সিটি কর্পোরেশনের ভাড়ার তালিকাও। কিন্তু তার কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে বছর বছর রাজধানীতে বাড়ি ভাড়া বাড়াচ্ছেন মালিকরা। অপ্রত্যাশিত এ ভাড়ার চাপে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হচ্ছেন ঢাকার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ। ভাড়াটিয়া পরিষদ এর জন্য দায়ী করছেন, আইনের বাস্তবায়ন না থাকাকে। আর এর জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের উপর দায় চাপালেন গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।১৩৪ বর্গমাইলের এই নগরীতে বাস করে প্রায় দুই কোটি মানুষ। ধারণক্ষমতার চেয়ে যা কয়েকগুণ। এরপরও থেমে নেই রাজধানীমুখী মানুষের ঢল। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মানুষের চাপ। আর এই সুযোগে প্রতিবছরই ঢাকার বাড়িওয়ালারা ইচ্ছেমতো বাসা ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভাড়াটিয়াদের।এক ভাড়াটিয়া বলেন, একবছর পর কিন্তু ১ হাজার টাকা, কিন্তু দুই বছর পর বাড়িওয়ালা ২ হাজারের বেশি ভাড়া বাড়াচ্ছে।
আরেক ভাড়াটিয়া বলেন, বেতনের অর্ধেক যদি বাসা ভাড়া দিয়ে দেই, তাহলে পুরো মাসটাই কষ্টে কাটাতে হয়।
বিশ্বে বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা এখন তৃতীয়। অথচ বাড়িওয়ালারা অনেক ক্ষেত্রে কোন ধরনের সুবিধা না বাড়িয়েই, আইনের তোয়াক্কা না করে কয়েকগুণ বেশী ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়াদের।তারা বলছেন, এসব দেখার জন্য কেউ না থাকায় আইন লঙ্ঘন করে খেয়াল খুশি মতো ভাড়া বাড়ান বাড়িওয়ালারা।
এক ভাড়াটিয়া বলেন, যখন প্রথম বাসা ভাড়া নিই, তখন ভাড়া ছিল ৭ হাজার, এরপর প্রতিবছর ৫শ থেকে ১ হাজার করে বাড়িয়ে এখন ১৪ হাজার ৫শ টাকায় আছি।