প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জেলা গোয়েন্দা পুলিশের রাতভর সাঁড়াশি অভিযানে বিপুল পরিমান প্রাচীন ধাতব মুদ্রা ও ৩টি নকল ধাতব মেটাল সহ আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করেছে।প্রতারক এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে নকল ধাতব মুদ্রা ও ধাতব পদার্থ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। অবশেষে ডিবির জালে ধরা পড়েছে।ডিবি সূত্র জানায়, বগুড়া শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সামনে খেলার মাঠ চক্রের হোতা আজিজার রহমানকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায়। এরপর আশপাশের এলাকা থেকে এই চক্রের অন্য সদস্য শিবগঞ্জের সারদীঘি গ্রামের রুহুল আমিন (৫২), গাবতলীর তরফসরতাজ এলাকার আবু নাছেরকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে পাওয়া যায় ১টি ধাতব পদার্থ।এদের তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া গাবতলী উপজেলার পদ্মপাড়া থেকে জহুরুল ইসলাম (৪০), সাইদুর রহমানকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুইজনের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার নুরইল শিয়ালী গ্রামে। এদের কাছে পাওয়া যায় ৫৭টি প্রাচীন ধাতব মুদ্রা।চারকোনা এবং গোলাকৃতির এই পদার্থগুলোতে প্রাচীন রাজাদের রাজদরবার, জাহাজ ও ঘোড়াসরওয়ারীর ছবি রয়েছে। এগুলোকে কয়েক হাজার বছরের পুরানো পুরাকীর্তি হিসেবে উল্লেখ দেশ ও বিদেশে প্রতারণা করা হতো।এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য জয়পুরহাটের কালাই বামনডাঙ্গা গ্রামের বাছেদ আলী (৩৮), বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পদ্মপাড়ার রোকনদ্দিন (৫০), সদর উপজেলার শহরদীঘি এলাকার লিটন প্রামানিক (৩৫), শাজাহানপুরের জোরমালা গ্রামের গোলাম রব্বানীকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।গত ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত অদম্য অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের এই সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রাচীন আমলের তৈরীকৃত মুদ্রার আদলে তৈরি নকল ৫৭টি ধাতব মুদ্রা ও ০৩টি নকল ধাতব মেটাল। পরে তাদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা রুজু করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।