Logo




বগুড়ার হাজরাদিঘীতে বিয়ের ৩ মাসের মাথায় স্বামীর ঘরে নববধূর লাশ, যৌতুক লোভী স্বামীর পরিবার পলাতক

গোলাম রব্বানী শিপন, বিশেষ প্রতিনিধি
আপডেট করা হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

বগুড়ার সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদিঘী উত্তরপাড়া গ্রামে বিয়ের ৩ মাসের মাথায় স্বামীর ঘরের সিলিং এর সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো শরিফা আক্তার (১৯) নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর স্বামীসহ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬এপ্রিল) বিকাল ৪টায় গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কাহালু ভুগইল পাইকড় ইউনিয়নের কালিতলা গ্রামের আবু সামাদের কন্যা শরিফাকে ৩ মাস আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে অানুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করেন সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদিঘী উত্তারপাড়া গ্রামের শাহ আলমের পুত্র রাকিব হাসান।
বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে শরিফার ওপর নির্যাতন চালাতো যৌতুক লোভী স্বামী রাকিব।
স্থানীয়রা ও নিহতের বাবা, মা জানান, বিয়ের পর থেকে ৪০হাজার টাকা যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দেন শরিফাকে। সেই টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে শরিফাকে বিভিন্ন সময়ে গালাগাল ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতেন স্বামী রাকিব ও তার পরিবারের লোকজন। এরই মধ্যে মেয়ের নির্যাতন সইতে না পেরে ১০ হাজার টাকা জামাই রাকিব হাসানকে দিয়ে বাকি ৩০হাজার টাকা ৩মাস পর দেওয়ার সময় নিয়ে ছিলেন শরিফার পরিবার।
নিহত শরিফার মা, মেয়ের লাশের পাশে আহাজারি করে বলেন, সকালে তার জামাই ৩০ হাজার টাকা আনতে বলেন, সে মাদকের ব্যবসা করবে যদি টাকা সময় মত না আসে তাহলে তার মেয়েকে একবারে নিয়ে যেতে বলেন। শরিফার বাবা মা জানান, যৌতুকের দাবিকৃত ৩০হাজার টাকা সময় মত না দিতে পারায় স্বামীর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্বামীর বাড়ির বিভিন্ন বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার পরও ৩ মাস সংসার করেছেন শরিফা। তাকে শারীরিক ও মানিসকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, যার কারণে বিয়ের ৩ মাস হতে না হতেই তাদের মেয়েকে লাশ হতে হলো। প্রথমে ঘরে সিলিং ফ্যানের রডের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত লাশ পরিবাররের লোকজন উদ্ধার করে বারান্দায় রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানার তদন্ত ইন্সপেক্টর মুক্তার ও এসআই রেজাউল করিম সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট শেষে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এঘটনায় পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে জানা যাবে আসলে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। তবুও নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com