Logo




সংবাদ প্রকাশের পর বগুড়ার শিবগঞ্জে অবৈধ বালুদস্যুদের ড্রেজার পুড়িয়ে দিলেন পুলিশ

গোলাম রব্বানী শিপন, বিশেষ প্রতিনিধি
আপডেট করা হয়েছে : সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০

বগুড়ার শিবগঞ্জে বালুদস্যুদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি, বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ও কৃষকের ফসলি মাঠ” শিরোনামে গত (১৮ এপ্রিল শনিবার) বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপর বিষয়টি নজরে আসে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবির ও শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমানের।এরই ধারাবাহিকতায় শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবির ও (ওসি) মিজানুর রহমান এর দিকনির্দেশনায় নিউজে উল্লেখিত ব্যক্তিদের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ড্রেজার আগুনে পুড়িয়ে ও পাইব গুড়িয়ে দেয় পুলিশ।
সোমবার (২০এপ্রিল) সকাল ১১টায় অভিযান চালানোর সময় পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে ড্রেজার ফেলে রেখে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ড্রেজার মেশিন আগুনে পুড়িয়ে অন্যান্য সরঞ্জামাদি গুড়িয়ে দেয়।প্রসঙ্গত, অপরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে শিবগঞ্জের কৃষকদের ফসলের মাঠ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। গত কয়েক মাস ধরে শিবগঞ্জ উপজেলার আনাচে কানাচে বালু উত্তোলনের নামে চলে আসছে বালুদস্যুতা। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বেশকিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা ফসলের মাঠের পাশে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলে অসহায় কৃষকদের জমি করে ক্ষতবিক্ষত। এতে কুদ্দুস নামের প্রভাবশালী এক স্থানীয় ইউপি সদস্য ব্যাপকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলের মাঠ ও আশেপাশের বসবাসকারী সাধারণ জনগণ।শুধু ইউপি সদস্য কুদ্দুস নয়, শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের শামসুল ইসলামের পুত্র বালুদস্যু হাফিজার রহমান সিন্ডিকেটের অসাধুতা ও পরিকল্পনাহীনতার কারণেও বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে এখানকার জনজীবন। অবৈধ ভাবে এই বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পরে কৃষিক্ষেত। অবৈধ বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান ও ড্রেজার মেশিন পুড়িয়ে ফেলায় এলাকার কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অভিযান অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com