Logo




কার্পাসডাঙ্গা বাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকলেও কাঁচা বাজারে দ্রব্য মূল্যর উর্ধগতি।

দামুড়হুদা প্রতিনিধিঃ
আপডেট করা হয়েছে : সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২০

 চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার কাঁচা বাজার বসছে এখন কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে।নোবেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে কার্পাসডাঙ্গা কাঁচা বাজারের স্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মুনিম লিংকন।
তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার পরিবেশ অনেকটা নিরাপদ। নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান করতে দামুড়হুদা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে। কার্পাসডাঙ্গার কাঁচা বাজার নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।এদিকে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকলেও কাঁচা বাজারের দ্রব্য মূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে লাগামহীন ভাবে। এতে খেটেখাওয়া মানুষ সহ মধ্যোবিত্ত মানুষের কাঁচা তরকারি কেনা যেন অসম্ভব হয়ে পড়েছে।২৭-০৪-২০২০ ইং রোজ সোমবার বেলা ১২ ঘটিকার সময় কার্পাসডাঙ্গা কাঁচা বাজারে সরেজমিনে দেখা যায় প্রায় সকল কিছুর দাম বেড়েই চলেছে। আলু, পেঁয়াজ, লাল শাক ও পুই শাকের দাম ঠিক থাকলেও অন্যান্য জিনিসের দাম বেশি সেই সাথে রসুনের দাম নাগালের বাইরে। আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা, লাল শাক ৫ টাকা আটি, পুই শাক ১০ টকা আটি, দেশি পিয়াজ ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান পিয়াজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছে ব্যাবসায়ীরা।বৃদ্ধি পেয়েছে উস্তে, বেগুন, কাঁচা ঝাল, পটল, শসা ও রসুনের দাম। উস্তে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কাঁচাঝাল ৪০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা ও রসুনের দাম ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে ব্যাবসায়ীরা।ক্রেতারা জানান বেগুন ও রসুনসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ার কারনে মধ্যবিত্তের অনেকটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ এই লকডাউনের সময় কেউ কাজ কর্ম করতে পারছেনা। অবসর সময় পার করছে মধ্যবিত্ত মানুষেরা। মধ্যবিত্তের মাঠের ফসল এখনো ঘরে উঠেনি আর এই সময় যদি সকল জিনিসের দাম বেড়েযায় তাহলে এই রোজার মাসে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা দ্রব্য কিনতে অসম্ভব হয়ে দাড়াবে।এদিকে এক বিক্রেতা জানান, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই আমরা বিক্রয় করছি। অবশ্য আগের থেকে ক্রেতার সংখ্যা বাজারে অনেক কম। কাঁচাদ্রব্য আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই সেই অনুযায়ী বিক্রি করছি এসব দ্রব্য।ক্রেতারা জানান, রমজান মাসে যদি বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা ভালো হয় তাহলে হয়তো আমরা ন্যাজ্য দামে দ্রব্য ক্রয় করতে পারবো। এবং সেই সাথে মাঝে মাঝে যেন বাজার মনিটরিং করা হয় সেব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি চেয়েছেন ক্রেতারা।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com