Logo




শিশু আসামির শরীরে আঘাতের চিহ্ন, তবুও জবানবন্দি নিলেন বিচারক!

স্টাফ রির্পোটারঃ
আপডেট করা হয়েছে : রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

হত্যার স্বীকারোক্তি আদায়ে ঝুলিয়ে পেটানো হয় শিশু আসামিকে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার পরও জবানবন্দি নেন বিচারক। এমন অস্বাভাবিক জবানবন্দি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। শোকজ করা হয়েছে চাঁদপুরের চিফ জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেটকে। শিশুদের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না বলে যখন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট তখনই ঘটল এমন ঘটনা।চাঁদপুরের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছিলেন তার মামা। ১২ হাজার টাকা দামের ফোনসেটের দিকে চোখ পড়ে তারই বন্ধুর। ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট খুন হয় সোহেল। দেহ থেকে বিছিন্ন করা হয় মাথা। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। পরে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যাদের প্রত্যেকেই স্বীকার করেন মোবাইল ফোনের জন্য খুন করার কথা।

এ মামলায় মূল আসামি জামিন নিতে আসে হাইকোর্টে। সেখানে বলা হয়, হত্যার স্বীকারোক্তি আদায়ে ঝুলিয়ে পেটানো হয় তাকে। আসামির বয়স ১৬ হলেও চার্জশিটে দেয়া হয়েছে ১৯ বছর। পুলিশি নির্যাতনের চিহ্ন ছিল তার দেহে। তারপরও আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি কেন ও কীভাবে রেকর্ড করা হলো তার লিখিত ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট বিচারকের কাছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একমাসের মধ্যে চাঁদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরে আলমকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। জবানবন্দি রেকর্ড করায় বিচারককে শোকজও করা হয়।

রোববার (১৪ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওই হত্যা মামলায় আসামি মো. ফরহাদ হোসেন ওরফে খলুর জামিন আবেদনের শুনানিতে বিষয়টি আদালতের নজরে আনে আসামিপক্ষ। শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়ে মো. ফরহাদকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন।

মন্তব্য

মন্তব্য





এই ধরনের আরও খবর

ফেসবুকে আমরা




Theme Created By ThemesDealer.Com