বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘের্ষ ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তাকবির ইসলাম।
মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। তাকবির জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর।
গত বৃহস্পতিবার রাতে মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। শহরের টেম্পল রোডে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা তাকবিরসহ দুই গ্রুপের অন্তত ৯জন আহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় সদর থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়। গত শনিবার পৃথক দুটি মামলা করেন তাকবির ইসলামের মা আফরোজা ইসলাম ও আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য সোহাগ হাসান।
ছাত্রলীগ নেতা তাকবিরের মা মামলায় সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফকে প্রধান আসামী করেন। রউফসহ এ মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ থেকে ৩৫জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় অন্য নামীয় আসামীরা হলেন, জাহিদ হাসান (২৬), আনোয়ার হোসেন (২৭), মো. তারেক (২৭), বিধান চন্দ্র মোহন্ত (২৭), নিশাদ (২১) ও আরমান (২২)।
ছাত্রলীগ নেতা সোহাগের করা মামলায় তাকবিরকে প্রধান আসামী করা হয়। তাকবিরসহ এ মামলায় ১২জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ২৫জনকে আসামী করা হয়েছে।
সোহাগের করা মামলায় অন্য নামীয় আসামীরা হলেন, তোফায়েল আহমেদ, হাসিবুল হাসান শান্ত, আব্দুল্লাহ ঈমন, জয় কুমার দাস, শাহাদত জামান সঞ্জয়, সামিউল পরান সজল, সিজান রহমান, ফেরদৌস আলম সাফি, মাহবুবুল সাফিন, হাবিবুর রহমান ও মেহেদী হাসান।
জানতে চাইলে ওসি হুমায়ুন কবীর মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, তাকবির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। দুই পক্ষের মামলায় এখনো কোনো আসামীকে গ্রেফতার করা যায়নি।