রাতের রানীখ্যাত নাইট কুইন ফুল বছরে একবার কোন এক রাতে ফোটে আবার সেই রাতেই ঝরে যায়। এটাই এই ফুলের বৈশিষ্ট্য। আর এর নজরকাড়া সুগন্ধ মানুষকে আকৃষ্ট করে। গত সোমবার রাতে এই ফুল ফুটেছে গাইবান্ধা শহরের গোডাউন রোডের বাসিন্দা ও গাইবান্ধা বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এলপিআর) এ কে এম মুশফিকুল ইসলামের বাসায়।
মুশফিকুল ইসলামের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, প্রাচীরঘেরা বাসার আঙ্গিনায় নাইট কুইন, চেরী, টগর, মে ফ্লাওয়ার, গোলাপি ও সাদা লিলি, শেফালি, ব্লিডিং হার্ট, প্যাশন ফ্লাওয়ার, গোলাপ ও রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছের চারা। এ ছাড়া তার মেহেদী গাছের পাতার রঙ খুব বেশি হয়। বাবার ফুলবাগান দেখে উৎসাহী হয়ে মুশফিকুল ইসলামের মেয়েও ঢাকায় বাসার ছাদে গোলাপ ফুলের বাগান করেছেন।
মুশফিকুল ইসলাম জানান, ৭ বছর আগে শখের বশেই বাসায় বিভিন্ন ধরনের ফুলের বাগান করেছি। রাতের রানীখ্যাত এই ফুলটি বর্ষাকালে কোন একদিন রাতে ফোটে আবার সেই রাতেই ঝরে যায়। ফুলটির রঙ সাদা। ফুটলে পাপড়িগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিটি গাছে ৫ থেকে ১৩টি ফুল ফোটে। এর সুগন্ধ মনকে আকৃষ্ট করে। তিনি আরও জানান, ফুলের সুগন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী অনেক মানুষ বাসায় ফুলের গাছ দেখতে আসেন। তখন খুব ভালো লাগে। আমার বাসায় ফুলের বাগান দেখে অনেকেই উৎসাহী হয়ে তাদের বাসায় ফুলের বাগান করেছেন।
মুশফিকুল ইসলামের স্ত্রী সাদুল্লাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রওনক সুরাইয়া বলেন, আমার স্বামী ফুলকে ভীষন ভালোবাসেন। তাই কোথাও ভালো জাতের ফুল গাছ দেখলে বাসায় নিয়ে আসি। কাজের ফাঁকে অবসরে আমিও ফুলের গাছের পরিচর্যা করি। তাকে এ কাজে উৎসাহ দেই।